বিশ্বমানবতার সর্বশেষ, পূর্ণতম ও সর্বশ্রেষ্ঠতম রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মহাসৌভাগ্যশালী উম্মত আমরা। রাসূল (সা.) সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেছেন মূল কেন্দ্র থেকে, অসীম জ্ঞানের উৎস থেকে, মহাজ্ঞানী পরম মহিমাময় পবিত্র সত্তা থেকে। একটি মহৎ উদ্দেশ্য পরিপূরণের জন্য এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে আমাদেরকে। পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা করবার জন্য; বুঝবার জন্য এবং বোঝার জন্য আমাদের অক্ষমতাকে, অসম্পূর্ণতাকে, সম্ভাবনাকে। দেখবার জন্য-- আমাদের মধ্যে কে সচেতন, কে সচেতন নয়। সুতরাং আমাদেরকে মান্য করতেই হবে জ্ঞানের উৎসদাতাকে এবং জ্ঞান বিতরণকারীকে। সত্যকে। জ্ঞান ও প্রেমের পথের অনন্ত পরিব্রাজনাকে। আমরা যে মানুষ। নিসর্গের নেতৃত্বাধিকারী। শেষতম ও সর্বশ্রেষ্ঠতম মহাপুরুষ কর্তৃক আনীত মহাকল্যাণের পতাকাবাহী। আমাদের অভ্যুদয় হয়েছে কল্যাণের জন্য। তাই পৃথিবী ও পরবর্তী পৃথিবীর কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের ধর্ম। নিজের জন্য। দেশবাসীর জন্য। বিশ্ববাসীর জন্য। সকল মানবের জন্য। সকল মানব-মানবীর জন্য। মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র আল কোরআনে ইরশাদ করেছেন: ‘এবং সে মনগড়া কথাও বলে না। ইহা তো ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়।' আরেক আয়াতে ইরশাদ করেন: রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ করো, আর যা হতে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো।' রাসূল (সা.) বলেছেন: 'তোমরা আমার থেকে প্রচার কর—একটি কথা হলেও।' পবিত্র হাদিসের পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলের (সা.) প্রতিটি কথা ও কাজের বিবরণ সংরক্ষণ হয়েছে যথাযথ ও নিখুঁতভাবে। মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক কথা বলেছেন, দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। রাসূল (সা.)-এর অনেক বাণী থেকে কিছু শ্রেষ্ঠ বাণী এখানে পাঠকদের জন্য সংকলিত করা হলো। শুরুতে রাসূল (সা.)-এর কথোপকথন, বক্তৃতা ও সামাজিক যোগাযোগ নিয়ে লেখা সংযোজিত হয়েছে। শেষে রাসূল (সা.)-এর পবিত্র জীবনের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো আগ্রহী পাঠকদের জন্য। বইয়ের মাঝে মসজিদে নববীর বিভিন্ন অংশের ছবি ও কিছু ইসলামি ক্যালিওগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে যেন মহানবীর (সা.) শ্রেষ্ঠ বাণী থেকে সঠিকভাবে জানা, বোঝা ও শেখার ইচ্ছার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ করে দেন। মহানবী (সা:) এর শ্রেষ্ঠ বাণ “ বইয়ের ফ্ল্যাপের লিখা কথা: হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন মহান আল্লাহ তাআলার প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল। সর্বকালের সমগ্র মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ, শ্রেষ্ঠতম পথপ্রদর্শক। মহান আল্লাহ তাআলা রাসূল (স.) কে ভূষিত করেছিলেন জাওয়ামিউল কালিম বা স্বল্পতম শব্দে ব্যাপক অর্থ বোঝানোর ক্ষমার। মহানবী (স.) এর পবিত্র বাণী সংকলিত করা হয়েছে এ বইতে।br মানুষের জীবনযাপনের প্রতিটি কাজে আসবে এই পবিত্র বাণীগুলো।
Mahmud Iqubal সাংবাদিকতা করেন, সঙ্গে লেখালেখিও । জন্ম: ১৪ নভেম্বর ১৯৬৯ সাল। জন্মস্থান : টাঙ্গাইল । শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রামে। স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেছেন ঢাকা জেলার ধামরাইতে । বাংলা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । মা : মাহমুদা রহমান বাবা : মরহুম আ ন ম লুৎফর রহমান। ছাত্র জীবনে ছড়া, কবিতা, গল্প নিয়ে লেখালেখি শুরু করলেও এখন লিখছেন বিভিন্ন ধরনের বিষয়ভিত্তিক লেখা । প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২টি । বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে কাজ করছেন শিক্ষা নিয়ে । নিজে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখাতে পছন্দ করেন। কেননা স্বপ্নের আরেক নামই তো জীবন ।